যখন গোলরক্ষকেরা ভিডিও গেম চিট কোডের মতো খেলে

১০ বছর ধরে গোলরক্ষকদের পারফর্মেন্স পূর্বাভাস দেওয়ার পরিসংখ্যানগত মডেল তৈরি করার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি: এই তিনটি প্রিমিয়ার লিগ সেভ পদার্থবিদ্যা বা সম্ভাব্যতার নিয়ম মানেনি।

১. ডেভিড ডি গিয়া বনাম আর্সেনাল (২০১৭) - মানুষের রাবার ব্যান্ড

পোস্ট-শট xG: ০.৯২ | প্রতিক্রিয়া সময়: ০.১৮ সেকেন্ড | মিরাকেল ইনডেক্স: ৯.৭/১০

আলেক্সিস সানচেজের পয়েন্ট-ব্ল্যাংক শট ঠেকাতে ডি গিয়া যে সময়ে স্ট্রেচ আর্মস্ট্রংয়ে রূপান্তরিত হয়েছিলেন। আমার ট্র্যাকিং ডেটা দেখায় যে শট নেওয়ার সময় তাঁর বাম পা জমিনেই ছিল - যার অর্থ তিনি মূলত স্থানকাল ভাঁজ করে এই সেভ করেছিলেন। প্রয়োজনীয় কৌণিক বেগ? আনুমানিক একটি যুদ্ধবিমানের ব্যারেল রোলের সমতুল্য।

২. অ্যালিসন বনাম নাপোলি (২০১৮) - দ্য ম্যাট্রিক্স ডজ

পোস্ট-শট xG: ০.৮৯ | বিমানীয় কভারেজ: ৩.২মিটার পরিধি | মিরাকেল ইনডেক্স: ৯.৫/১০

ব্রাজিলিয়ান কিভাবে মিলিকের হেডারে ১.৩ সেকেন্ডে গোল এরিয়ার ৭৮% কভার করেছিলেন তা রহস্যই রয়ে গেছে। আমার হিটম্যাপ বিশ্লেষণ বলছে তিনি স্ট্রাইকারের কপাল থেকে বল ছাড়ার আগেই শট ট্র্যাজেক্টরি অনুমান করতে পেরেছিলেন - হয় ঐশ্বরিক হস্তক্ষেপে, নয়তো অবৈধভাবে পূর্বজ্ঞান ব্যবহার করে।

৩. জো হার্ট বনাম সুইন্সি (২০১২) - মহাকর্ষের বিরুদ্ধে মামলা

উল্লম্ফন: ১.১মিটার | হ্যাং টাইম: ১.৮সেকেন্ড | মিরাকেল ইনডেক্স: ১০/১০

হার্টের মিচুর বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ প্রসারিত টিপ-ওভার এখনও পর্যন্ত একমাত্র রেকর্ডেড ঘটনা যেখানে কোন মানুষ যান্ত্রিক সহায়তা ছাড়াই পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তিকে সাময়িকভাবে পরাজিত করেছিল। আমার বায়োমেকানিক্যাল মডেল অনুযায়ী তাঁর সমস্ত কোর মাসল দুইবার ছিঁড়ে যাওয়ার কথা ছিল…

কেন এই সেভগুলি এনালিটিক্স ভাঙছে

আমার ‘অসম্ভব সেভ অ্যালগোরিদম’ বিবেচনা করে:

• প্রতিক্রিয়া সময় ঘাটতি
• বায়োমেকানিক্যাল সম্ভাব্যতা
• xG পার্থক্য

ফলাফল? এই তিনটি সেভের স্বাভাবিকভাবে ঘটার সম্ভাবনা ছিল মাত্র ০.০০০৪%। হয় আমরা ক্লিটযুক্ত কোয়ান্টাম টানেলিং প্রত্যক্ষ করেছি, নয়তো গোলরক্ষকেরা আসলে দিনের বেলা সুপারহিরো ছদ্মবেশ ধারণ করে।