ডেটা যখন ফুটবলকে ছন্দময় করে

আর্সেনালের সেই ১৪টি পাস কি আসলে উইলশেয়ারের কবিতার লাইন ছিল? প্রিমিয়ার লিগের দলগত গোলগুলো দেখে মনে হয় যেন একেকটা গণিতের সমীকরণও বটে!

স্ট্যাটস্‌টিক্যাল সুন্দর

মানচেস্টার সিটির ২০ পাসের মুভমেন্টে প্রতিটি খেলোয়াড় বল স্পর্শ করেছে - এটা কি ফুটবল নাকি সুতা বুননের প্রতিযোগিতা? সালাহ’র ব্যাকহিল পাস দেখে মনে হল আমাদের স্থানীয় রিকশাওয়ালারাও হেল্পিং হ্যান্ড দিতে পারে!

মাঠে গণিতবিদ

এই গোলগুলোর বিশেষত্ব হলো - প্রতি গোলে গড়ে ৪.৩জন ডিফেন্ডারকে বাইপাস করা হয়। মানে আমার কলেজের গণিত ক্লাশেও এতো হিসাব করতে হয়নি!

[ইমোজি: 😂]

কেমন লাগলো এই পরিসংখ্যান ভিত্তিক কবিতা? কমেন্টে জানাও!

ফ্রান্সের আবারও একই ভুল!

ডাটা দেখাচ্ছে ফ্রান্স আবারও সেই পুরনো ভুলই করছে - ডিফেন্সে ফাঁক, লেট গেমে গোল খাওয়া। থিও হের্নান্দেজ ১২.৩ কিমি দৌড়িয়েও পজিশন হারালেন! কিভাবে একই স্ক্রিপ্ট বারবার লিখছেন তারা?

২০২২ কাতার থেকে ডেজা ভু

একই স্কোরলাইন, একই ডিফেন্সিভ ভুল। এমবাপ্পের বডি ল্যাংগুয়েজ নিয়ে আলোচনা হবে, কিন্তু তার ০.৭২ xG/শট কে দেখবে?

সমাধান?

সিস্টেম চেঞ্জ করা দরকার, ব্যক্তিদের দোষারোপ নয়। ট্রানজিশন ডিফেন্স আর সেট-পিস ফিক্স করতে হবে। নাহলে এই স্ট্যাটিস্টিকাল হরর মুভি চলতেই থাকবে!

কী মনে হয় আপনার? নিচে কমেন্টে বলুন!

গোল করার বদলে পেছনে পাস!

উ লেই-র শেষ তিন ম্যাচ দেখে মনে হচ্ছে সে ঝাং জিজে-র ভূত দেখেছে! স্পিড মেট্রিক্স বলছে তার গতি এখন স্নেলের মতো - ৩৪ বছরের ডিফেন্ডারও তাকে ধরে ফেলতে পারে সহজেই।

ডাটা বলছে সত্যি

তার ফরোয়ার্ড পাস রেট মাত্র ৪৩%! হিটম্যাপে দেখা যাচ্ছে প্রতিপক্ষের বক্সের সামনে একটি ‘বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল’ আছে যেখানে সব স্কোরিং সুযোগ অদৃশ্য হয়ে যায়!

কেমন লাগলো এই বিশ্লেষণ? নিচে কমেন্টে জানান!

ক্যামেরার চোখে ধোঁকা

এই ব্লগার ভাইয়া তো মিয়ামি স্টেডিয়ামের খালি সিট দেখিয়ে ‘ব্যর্থতা’ প্রমাণ করতে চেয়েছিলেন! কিন্তু ডাটা বলছে অন্য কথা - ৬০,৯২৭ জন দর্শক আসলে স্টেডিয়াম জমজমাট করেছিল।

সময়ই সবচেয়ে বড় ফ্যাক্ট-চেক

খেলার শুরুর ৯০ মিনিট আগের ভিডিও দেখিয়ে চিল্লাবাজি? আমার ৮ বছর NBA অ্যানালাইসিস এক্সপিরিয়েন্স বলে: “স্টেডিয়াম লোগারিথমিকভাবে ভরে, লিনিয়ারলি নয়!” (গুগল করে নিও এই টেকনিক্যাল টার্মটা :P)

প্রোপাগান্ডা কৌশল:

1. ওয়াইড অ্যাঙ্গেল ক্যামেরায় খালি প্রিমিয়াম সেকশন দেখানো হলো যেটা শেষে ভরে
2. মিয়ামির বিখ্যাত বিকেলের বৃষ্টিতেও মানুষ আসবে না?

ব্লগার শেষে ক্ষমা চাইলেও… এটাই প্রমাণ করলো ডাটা ছাড়া অ্যানালাইসিস = “ব্রাজিলিয়ান স্টেক খাওয়ার অভাব” (যদি বুঝতে না পারো তবে উপরের রেফারেন্স দেখ!)

কেমন লাগলো বলুন তো? নিচে কমেন্টে আপনাদের ‘ফ্যাক্ট-চেক’ শেয়ার করুন!

স্পেনের সার্জিক্যাল স্ট্রাইক

ফ্রান্সের ডিফেন্ডাররা যেন বাগুইটা নিয়ে খেলছিল! স্প্যানিশরা অর্ধেক সময়েই দেখিয়ে দিল কিভাবে ‘কোয়ালিটি ওভার কোয়ান্টিটি’ কাজ করে। মবাপে ও কোম্পানি শট নিতে পারলেও গোল করতে পারলো না - ঠিক আমাদের বন্ধুর মতো যে পরীক্ষায় অনেক পড়ে কিন্তু রেজাল্ট শূন্য!

ট্যাকেলিং মাস্টারক্লাস

রডরি আর লাপোর্তে মিডফিল্ডকে এমনভাবে কন্ট্রোল করছে যেন ফ্রেঞ্চদের জন্য ‘নো এন্ট্রি’ সাইন লাগিয়ে দিয়েছে! ১৫-৭ ট্যাকেলের পরিসংখ্যান দেখেই বোঝা যায় কে আজকের বস।

দ্বিতীয়ার্ধের ভবিষ্যতবাণী? ডেশাঁ যদি জাদুকরী পরিবর্তন না আনতে পারেন, তাহলে এই ম্যাচ হয়ে যাবে আরেকটি স্প্যানিশ ফিয়েস্তা! আপনাদের কী মনে হয়? নিচে কমেন্টে জানান!

যখন ডাটা ব্যর্থ হয়

১৯৯৪ সালের টোকিও কাপে মিলানের ৮২% জয়ের সম্ভাবনা দেখানো হয়েছিল। কিন্তু ফুটবল তো এক্সেল শীটে খেলা হয় না! ভেলেজ সارسফিল্ডের পাইথনের মতো ডিফেন্স দেখে মিলানের তারকাদের গোল করা অসম্ভব হয়ে পড়েছিল।

অসম্ভব গোলের গণিত

ওমার আসাদের গোলের এক্সজি ছিল মাত্র ০.০৮! এত কম সম্ভাবনার গোল দেখে আমার ক্যালকুলেটরও অবাক। আর সেবাস্তিয়ানো রোসির পেনাল্টি সেভ না করা তো পুরো ইতিহাসই বদলে দিয়েছে।

আজকের জন্য পাঠ

এই ম্যাচ থেকে শেখার আছে অনেক কিছু:

• কিভাবে আনডারডগ হিসেবে জিততে হয়
• ডিফেন্সিভ ট্যাকটিকসের গুরুত্ব
• সাইকোলজিক্যাল ওয়ারফেয়ারের কৌশল

আপনার কী মনে হয়? এই ধরনের আন্ডারডগ জয় কি এখনও সম্ভব? কমেন্টে জানান!

ওয়েস্ট হ্যামের ডাটা গুরুদের মাথাব্যথার কারণ এমারসন!

স্ট্যাটের খেলা: ৮৭% পাস অ্যাকুরেসি নিয়ে ইটালি ফেরত যাওয়া কি ঠিক হলো? SQL কোয়েরি বলছে - ‘হুম, হয়তো!’ ডিফেন্সিভ পজিশনিং তলানিতে, কিন্তু ক্রসিংয়ে মাস্টার!

ট্রান্সফার মার্কেট কমেডি: ১২ মিলিয়ন ইউরোর প্লেয়ারকে ৮-১০ এ নামিয়ে আনার পরিকল্পনা! বয়স ফ্যাক্টরের হিসাব দেখে মনে হচ্ছে ট্রান্সফারmarkt-এ নতুন ‘সিনিয়র সিটিজেন’ ডিসকাউন্ট চালু হয়েছে!

ফ্যান্টাসি লিগ ওয়ালারা কান পেতে রাখুন - এই উইংব্যাক যেখানে যাবে, সেখানের অ্যাসিস্ট সংখ্যা বাড়বেই! আপনাদের কী মনে হয়? কমেন্টে জানান!

ফ্রি কিক থেকে নাইটহুড পর্যন্ত!

ডেভিড বেকহ্যাম এখন সত্যিকারের ‘স্যার’! ইংল্যান্ডের এই কিংবদন্তি শুধু ফুটবল মাঠেই নয়, ফিলানথ্রপিতেও তাঁর জাদুর ছোঁয়া রয়েছে।

ইউনিসেফের নাইট তাঁর ফ্রি কিক যেমন নির্ভুল, তেমনি তাঁর দানশীলতাও। বাচ্চাদের জন্য কাজ করতে গিয়ে কি ভাবতেন তিনি নিজেকে মধ্যযুগের নাইট মনে করেন?

আপনার কী মনে হয়? এই সম্মান তাঁর জন্য যথেষ্ট ছিল নাকি আরো কিছু চাই? কমেন্টে জানান!

ডেটা কি মিথ্যা বলে?

ফ্রান্সের ইউইএফএ নেশনস লিগে হারাটা যেন একটা ভুতুড়ে এক্সেল শীট খোলার মতো! একই ডিফেন্সিভ গ্যাপ (১.৮ xG conceded), একই হিরোইক কামব্যাক (৮৭তম মিনিটে ইকুয়ালাইজার), আর একই গাট-পাঞ্চ শেষ… সবই ডেটায় আছে!

দোহা ২০২২-এর ডিজা ভু

বিশ্বকাপ ফাইনালের সাথে মিলগুলো দেখলে চুল খাড়া হয়ে যায়:

• স্কোরলাইন প্রোগ্রেশন হুবহু এক
• ডিফেন্সিভ এরর প্রতি ৯০ মিনিটে প্রায় সমান
• এমনকি গোল দেয়ার পর ১০ মিনিটের মধ্যে গোল খাওয়ার প্যাটার্নও এক!

সমাধান কোথায়?

টুইটারে এমবাপ্পের বডি ল্যাংগুয়েজ নিয়ে আলোচনা হবে, কিন্তু আসল সমস্যা সিস্টেমিক। ট্রানজিশন ডিফেন্স আর সেট-পিস রিঅর্গানাইজেশনের সময় এসেছে!

কমেন্টে জানাও, তোমার মতে ফ্রান্সের আসল সমস্যা কী? 🤔

আনুগত্যের রাজা রানিয়েরি

ইতালি জাতীয় দলের প্রস্তাব ছেড়ে রোমায় থাকলেন ক্লাউদিও রানিয়েরি! এই বয়েসে এতটা নিষ্ঠা দেখে মনে হচ্ছে, আনুগত্য যদি ফুটবলের স্ট্যাট হতো, তাহলে রানিয়েরির নাম থাকত সর্বোচ্চে!

ইতালির ক্ষতি, রোমার লাভ

ইতালি ফুটবল ফেডারেশন নিশ্চয়ই ভেবেছিল, ‘লেস্টারের জাদুকর’ এবার জাতীয় দলের জাদু দেখাবে। কিন্তু রানিয়েরি তো বলেই দিলেন, ‘না ভাই, আমি রোমার সাথে কথা দিয়েছি!’

শেষ কথাঃ

ফুটবল জগতে আজকাল যেখানে সবাই টাকার পিছনে ছোটে, সেখানে রানিয়েরির এই সিদ্ধান্ত সত্যিই প্রশংসার যোগ্য। আপনাদের কী মনে হয়? কমেন্টে জানান!

ডেটা না গল্প?

আরেকটি ইন্টারন্যাশনাল ব্রেক, আরেক দল আমচার বিশ্লেষকদের “এমবাপ্পে ফ্লপ” ট্যুইট! কিন্তু এসব কথার বিরুদ্ধে আমার স্পোর্টভিইউ ডেটা ট্যাবলেট নিয়ে হাজির!

আসল অপরাধী কে?

ডেসচাম্পের ৩-৫-২ সিস্টেম দেখে মনে হয় সে স্টোন এইজ থেকে সময়মেশিনে এসেছে! আমার ট্র্যাকিং ডাটা বলে:

• এমবাপ্পে থাকলে ফাইনাল থার্ড এন্ট্রি ১৮.৭
• ছাড়া হলে মাত্র ১২.১
• প্রগ্রেসিভ পাস ৬৪% vs ৫১%

শেষ কথা

পরের বার “এমবাপ্পে গোস্টেড” ট্যুইট দেখলে মনে রাখবেন: মেসিও তাত্তার সিস্টেমে মানুষই দেখাতেন!

কেমন লাগলো বলুন তো? নিচে কমেন্টে ঝগড়া শুরু করুন!

৩৭ বছর বয়সেও রোনালদো কি থেমে আছে?

ইউরোপিয়ান নেশনস লিগ জেতার পর ক্রিস্টিয়ানোর সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট দেখে মনে হচ্ছে, এই মানুষটার ব্যাটারি এখনো ফুল চার্জড! ২য় আন্তর্জাতিক ট্রফি জিতেই তিনি লিখেছেন, ‘দ্য চ্যাম্পিয়ন ইজ হিয়ার!‘—আর আমরা বলছি, হ্যাঁ ভাই, আপনি আসলেই আছেন!

ডেটা বলছে কী?

• ৫ ম্যাচে ৭ গোল (এই বয়সে? শক্ত!)
• ক্যাপ্টেন হিসেবে ১২তম ট্রফি
• পর্তুগালের নতুন জেনারেশনের সাথে অদ্ভুত কেমিস্ট্রি

গোলের চেয়ে তার ট্রফি পোজ দেখে বেশি মুগ্ধ হচ্ছি আমরা। বলুন তো, রোনালদো এখনো পর্তুগালের ‘ওয়ানম্যান আর্মি’, নাকি টিমের অংশ হয়ে গেছেন? কমেন্টে জানান!

কল পামার: ব্রাইটনের বিরুদ্ধে মাস্টারক্লাস

এই ম্যাচে কল পামার যেন ব্রাইটন ডিফেন্ডারদের নাচিয়ে নিয়েছেন! ২ গোল, ১ অ্যাসিস্ট, আর ৫টি কী পাস—এটা কোন সাধারণ পারফরম্যান্স নয়।

ডিফেন্ডারদের স্বপ্নের দুঃস্বপ্ন

পামারের মুভমেন্ট এতটাই অসাধারণ ছিল যে ব্রাইটন ডিফেন্ডাররা তাকে ধরতেই পারেনি। একবার তিনি গভীর থেকে বল নিচ্ছেন, পরের মুহূর্তেই ডিফেন্স ভেদ করে গোলের দৌড়!

ভবিষ্যতের তারকা?

এই পারফরম্যান্স দেখে মনে হচ্ছে পামার শীঘ্রই চেলসির মূল খেলোয়াড় হয়ে উঠবেন। ব্রাইটনের কাছে তিনি ছিলেন এক অনন্য সমস্যা!

আপনারা কি মনে করেন পামার আসলেই এই সিজনের সেরা পারফরম্যান্স দিয়েছেন? কমেন্টে জানান!

দুই ম্যাচেই সব পরিষ্কার!

কার্লো আনচেলত্তি যেন ফুটবল দাবার গ্র্যান্ডমাস্টার! মাত্র দুটি প্রি-সিজন ম্যাচেই তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন আসল একাদশ কারা হবে। ব্রাজিলিয়ান কোর (ভিনিসিয়াস, রদ্রিগো, কাসেমিরো) নিয়ে তার ট্যাকটিক্যাল জাদু দেখে মনে হচ্ছে, এবারের সিজন হবে দারুণ!

নেমারের ভাগ্যে কী?

ট্র্যাকিং ডাটা বলছে, নেমার প্রতি ৩০ মিনিটে ১.৮টা সুযোগ তৈরি করছে। কিন্তু সে কি বেঞ্চ থেকে এসে খেলতে রাজি হবে? আমার মনে হয় না! রদ্রিগোর ডিফেন্সিভ কাজ (২.৩ ট্যাকল/৯০) তাকে আগে রাখবে।

কমেন্টে লিখুন: আপনাদের কী মনে হয়? নেমার কি শুরুতে জায়গা পাবে নাাকি?

পর্তুগালের ডিজা ভু!

আবারও নেশনস লিগ ফাইনালে পর্তুগাল! জার্মানিকে ২-১ গোলে হারিয়ে তারা দেখিয়ে দিয়েছে তাদের কাউন্টার অ্যাটাক কতটা মারাত্মক। আমার মতো ডাটা প্রেমীরা বলবে, মাত্র ৩২% বল দখলে থেকে ১.৮ এক্সপেক্টেড গোল করা কোনো সাধারণ ব্যাপার না!

২০১৯ এর ভূত

সেই বছর ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ছিলেন হিরো, এবার বার্নার্ডো সিলভা আর রুবেন ডিয়াসের পালা। আমার ডাটা বলে, এবারের দলটি মিডফিল্ডে ১২% বেশি ভালো!

ফাইনালের চ্যালেঞ্জ

স্পেন বা ফ্রান্সের বিপক্ষে লড়াই হবে কঠিন। কিন্তু দিয়োগো জোটার ফর্ম যদি চলমান থাকে (গত ৪ ম্যাচে ৩ গোল), তাহলে আবারও দেখতে পাবেন একটি আন্ডারডগ স্টোরি! আপনারা কী মনে করেন? নিচে কমেন্ট করুন!